
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ দিকে তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানায় হাজির জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ফেসবুক লাইভও করা হয়, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মুজিবুর রহমান।
জানা যায়, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য মো. সেলিম রোববার দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাইপাস সড়কের পাশে কাতার টাওয়ারের ৮ম তলায় ছাদ ঢালাই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ভোজে অংশ নেওয়ার পর কিছু রাজনৈতিক কর্মী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেলিম পালানোর চেষ্টা করলে লাফিয়ে পড়ে আহত হন; পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে বলা হয়েছে, সেলিমকে ছাড়াতে জাহাঙ্গীর আলমকে নেতৃত্বে একদল লোক থানা পর্যন্ত যান। সেই সময় অনেকে ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করেন। পরে থানায় উপস্থিতরা ফিরে যান। ঘটনার কারণে এলাকায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা দেখা দিয়েছে।
ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জামায়াত নেতা প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাতার টাওয়ারের ছাদ ঢালাইয়ের কাজে স্থানীয় রুবেল আনসারী সরঞ্জাম সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন। তাকে সুযোগ না দেওয়ায় সেই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে—তাই তারা থানায় গিয়েছিলেন।
তিনি আরও দাবি করেন, আটক সেলিমের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সেলিমকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই মামলা রয়েছে; তিনি জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের প্রতিহত করার সময় সংঘাতে জড়িত ছিলেন—এই বিষয়ে মামলা রয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, থানায় কাউকে ছাড়ানোর কোনো চেষ্টা হয়নি এবং থানার ভিতর থেকে ফেসবুক লাইভ করার দাবি সঠিক নয়।
ঘটনাস্থল ও থানা ঘিরে বর্তমানে শান্তি রয়েছে; তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং আলোচনা চলছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।